বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
প্রচণ্ড গরম আর লাগাতার বিদ্যুৎহীনতায় জনজীবন অতিষ্ট হয়েছে পড়েছে। গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণে কিছুটা স্বস্তি আনতে তাই পান করছেন ঠাণ্ডা জাতীয় পানি। ভ্রাম্যমাণ ঠাণ্ডা শরবত ও পানীয়ের চাহিদা বাড়ছে প্রচুর।
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরশহরের বেশ কয়েকটি গলি ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যুৎবিহীন দোকানে শুধুমাত্র মালিক-কর্মচারী বসে আছেন। গরমে অতিষ্ট হয়ে রাস্তায় লোকজন শূণ্য হয়ে পড়েছে। দেখে মনে হয় যেন অঘোষিত হরতাল চলছে।
বাজারের বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে প্রচণ্ড ভীড়। পাশাপাশি অনেকেই দোকানে বসেও পান করছেন বরফ, তোকমা, রাসনাসহ বিভিন্ন ফলের জুস। মঙ্গলবার দিরাইয়ে গরমের তাপতমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভ্রাম্যমাণ শরবতের ব্যবসায়িরা জানান, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এই গরমে চাহিদা বাড়ছে। ৫-১০ টাকা প্রতি গ্লাসে তাই গরমে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ ওষ্ঠাগত প্রাণে তেষ্টা মিটাচ্ছেন। এছাড়া হোটেলগুলোতেও চাহিদা বেড়েছে ঠাণ্ডা জাতীয় সাধারণ পানীয়ের।
এদিকে দিরাই-শাল্লায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার এই লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিপিডিবি ও পল্লীবিদ্যুতের স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবী, চাহিদা অনুযায়ি আমাদের বিদ্যুৎ না পাওয়াতে বাধ্য হয়েই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। যেখানে আমার ১০ মেগাওয়াট প্রয়োজন, সেখানে আমি পাচ্ছি মাত্র ৫ মেগাওয়াট বলে দাবি করছেন বিপিডিবির কর্মকর্তা। গড়ে প্রতিদিন দিরাই ও শাল্লায় অর্ধেকের বেশিই লোডশেডিং চলছে বলে সূত্র বলছে।